স্কুল ছাত্রী জিসা মনি অপহরণ মামলায় সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা ওসি অপারেশন আব্দুল হাইকে আদালতে তলব করা হয়েছে৷ আগামী ৩১ আগস্ট সশরীরে উপস্থিত হয়ে ‘জীবিত জিসা কি ভাবে মৃত হলো, মৃত থেকে আবার কি ভাবে জীবিত হলো’ এ বিষয় গুলোতে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাওসার আলমের আদালত থেকে নির্দেশ প্রদান করেন। একই সাথে গ্রেপ্তার চার আসামির জামিন ও রিমান্ড শুনানি ওই দিন হবে বলে আদেশ দেন।
সত্যতা স্বীকার করে আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মো. রোকন উদ্দিন বলেন, ‘আগামী তারিখে থানা সেদিন আদালত জানতে চাইবে, জীবিত ব্যক্তিকে কেন মৃত করা হলো, কিভাবে সেই মৃত ব্যক্তি জীবিত হলো। কেন সেই মামলা এখনও নথি ভুক্ত করা হয়নি।’
গত ৪ জুলাই ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী শহরের দেওভোগের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। তাকে না পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় জিডি ও মামলা করে তার পরিবার। ওই মামলায় পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব ও নৌকার মাঝি খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৯ অগাস্ট তারা আদালতে জবানবন্দি দেন। সেখানে তারা ‘অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার’ দায় স্বীকার করেন। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন এসআই শামীম আল মামুন।
এদিকে ঘটনার ৫১ দিন পর ২৩ অগাস্ট ওই কিশোরী মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে এনে পুলিশ সোর্পদ করে পরিবারের লোকজন। আদালতের নির্দেশে মেয়েটি এখন পরিবারের জিম্মাতেই আছে।